ফাউন্ডেশনের রাইট শেইড | অনলাইনে ফাউন্ডেশন কিনতে খেয়াল রাখুন ৫টি বিষয়!
বেসিক মেকআপ আইটেমের মধ্যে ফাউন্ডেশনের নামটাই সবার আগে আসে, তাই না?
বিগেনারদের জন্য রাইট মেকআপ প্রোডাক্ট সিলেক্ট করাটা একটু কঠিন, বিশেষ করে ফাউন্ডেশন! ফ্ললেস বেইজ মেকআপের জন্য ত্বকের ধরন ও স্কিনটোন মিলিয়ে রাইট শেইড সিলেক্ট করা খুবই জরুরী।
দিন দিন অনলাইন শপিং জনপ্রিয় হচ্ছে। অনলাইনে ফাউন্ডেশন কেনার আগে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে, সেটাই আজ আমরা জানবো। যারা অনলাইন থেকে মেকআপ প্রোডাক্টস কিনতে চাচ্ছেন এবং নিজের জন্য পারফেক্ট ফাউন্ডেশন বাছাই করতে পারছেন না, তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি হেল্পফুল হবে আশা করি।
ফাউন্ডেশনের রাইট শেইড সিলেকশন কেন জরুরী?
মেকআপ আনইভেন লাগছে, কিছুক্ষণ পরই বেইজ মেকআপ কালো হয়ে যাচ্ছে, ফাউন্ডেশন মুখে ভেসে ভেসে আছে এগুলো খুবই কমন সমস্যা। এর মেইন কারণ জানেন কি? ভুল ফাউন্ডেশন শেইড পিক করা! পারফেক্ট বেইজ মেকআপের জন্য বেছে নিতে হবে নিজের ত্বকের সাথে মানানসই ফাউন্ডেশন শেইড। তাহলেই তো ওভারঅল লুকটা ফ্ললেস হবে! স্মুথ বেইজ ছাড়া যত সুন্দর আইলুক বা লিপ কালার ক্যারি করেন না কেন, সেটা দেখতে কিন্তু ভালো লাগবে না। সবার আগে প্রয়োজন পারফেক্ট বেইজ মেকআপ।
অনলাইনে ফাউন্ডেশন কিনতে চাচ্ছেন?
এখন আমরা অনেকেই ফিজিক্যাল ষ্টোরে বা মার্কেটে যেয়ে প্রোডাক্ট কেনার থেকে অনলাইন শপিং-টাই প্রিফার করি। এতে টাইম সেইভ হয়, অর্ডার প্লেস করাও খুবই সহজ, ঘরে বসেই অফার বা সেল অ্যাভেইল করা যায়। আসলেই অনলাইন শপিং আমাদের লাইফটাকে অনেক ইজি করে দিয়েছে। অনলাইনে ফাউন্ডেশন কেনার সময় অনেকেই কনফিউসড থাকেন। শপে যেয়ে কিনতে পারলে তো ভালো, সরাসরি টেস্টার দিয়ে সোয়াচ করার অপশন থাকে। কিন্তু যারা ঘরে বসেই কিনতে চাচ্ছেন, তাদের জন্যই আজকের আর্টিকেল।
খেয়াল রাখুন ৫টি বিষয়
১) নিজের আন্ডারটোন সম্পর্কে জানুন
যেকোনো মেকআপ প্রোডাক্ট কেনার আগে নিজের আন্ডারটোন জেনে নিতে হবে। খুবই সহজ পদ্ধতি, দেখে নিন কীভাবে আন্ডারটোন ফাইন্ড আউট করতে হয়।
- প্রাকৃতিক আলোতে হাতটা ওপরে তুলে ধরুন এবং হাতের কব্জির ভেতরের শিরা দেখার চেষ্টা করুন।
- আপনার শিরার রঙ যদি নীল অথবা বেগুনি হয়, তাহলে আপনার স্কিনের আন্ডারটোন কুল।
- যদি সবুজ হয়, তবে আপনার টোন ওয়ার্ম টাইপ।
- আপনি যদি বুঝতে না পারেন যে, আপনার শিরার রঙ বেগুনি নাকি সবুজ! তাহলে আপনার আন্ডারটোন নিউট্রাল প্রকৃতির।
- আরও একটা উপায় আছে। আপনাকে যদি রুপোর গয়নায় এবং নীল বা লাল পোশাকে বেশি মানায়, তাহলে আপনার কুল আন্ডারটোন।
- যদি সোনার গয়না অথবা হলুদ বা কমলায় আপনাকে বেশি মানিয়ে যায়, তা হলে আপনার ওয়ার্ম আন্ডারটোন।
২) ত্বকের ধরন বুঝে ফাউন্ডেশন সিলেক্ট করুন
আপনার ত্বক অয়েলি, ড্রাই নাকি নরমাল; এই বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে। স্কিনের ধরন বুঝে ফাউন্ডেশন কেনাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনার স্কিন তেলতেলে হলে ডিউয়ি ফিনিশের ফাউন্ডেশন আপনাকে স্যুট করবে না!
আবার ড্রাই স্কিনে যদি আপনি ম্যাট ফাউন্ডেশন ইউজ করেন, তাহলে আপনার মেকআপ ফ্ললেস দেখাবে না! অনলাইনে যখন আপনি পারচেজ করবেন, সেখানে প্রতিটা প্রোডাক্টের ডিটেলস দেয়া থাকে। ম্যাট কভারেজ দেয়, নাকি ডিউয়ি বা ময়েশ্চারাইজিং ইফেক্ট দেয়, এই তথ্যগুলো জেনে নিন। দরকার হলে রিভিউ দেখে আসুন।
৩) কেমন কভারেজ দেয় সেটা দেখে নিন
আরেকটা বিষয় খেয়াল করুন, আপনি কেমন কভারেজ চাচ্ছেন। আপনি যদি রেগুলার অফিস লুকের জন্য ন্যাচারাল বেইজ মেকআপ চান, তাহলে আপনাকে লাইট কভারেজ দেয় এমন প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে। আবার পার্টি লুক বা কোনো অকেশনের মেকওভারের জন্য ফাউন্ডেশন কিনতে চাইলে, ফুল কভারেজ দিবে এমন ফাউন্ডেশন সিলেক্ট করাটাই ভালো। লাইট কভারেজ দেওয়া ফাউন্ডেশন দিয়ে হেভি মেকআপ করতে গেলে স্কিন আনইভেন লাগে। তাই, প্রোডাক্ট ডেস্ক্রিপশন থেকে জেনে নিন আপনার পছন্দের ফাউন্ডেশনটি কেমন কভারেজ দেয়!
৪) ফাউন্ডেশনের ফর্মুলা কেমন সেটাও জেনে নিন
বিভিন্ন রকমের ফাউন্ডেশন এখন অ্যাভেলেবল। লাইট ওয়েট, অয়েল ফ্রি, লুমিনাস ইফেক্ট দেয়, শাইন ফ্রি, থিক আরও কত কত টাইপ যে আছে ফাউন্ডেশনের। আপনার প্রিফারেন্স অনুযায়ী বেছে নিতে হবে রাইট প্রোডাক্টটি। যেমন অনেকে একটু শাইনি বা লুমিনাস ইফেক্ট পছন্দ করে। আবার অনেকে লাইট ওয়েটের শাইন ফ্রি বেইজ মেকআপ প্রোডাক্ট ইউজ করেন। অনেকে আছেন ফেইসে স্পট থাকায় একটু থিক ফাউন্ডেশন দিয়ে ফুল কভারেজ মেকআপ করেন। আসলে একেক জনের চয়েজ একেক রকম। ওয়েদার, স্কিনের কন্ডিশন, ফাউন্ডেশনের ফর্মুলা সবকিছু বিবেচনায় রেখে প্রোডাক্ট বাছাই করতে হবে।
৫) শেইড মিলিয়ে নিন
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শেইড মিলিয়ে ফাউন্ডেশন সিলেক্ট করা। আমি শপ.সাজগোজ.কম থেকে অনলাইনেই ফাউন্ডেশন কিনেছি। দিনের আলোতে কোনো ক্যামেরা ইফেক্ট না দিয়ে নরমালি ছবি তুলে পেইজে ইনবক্স করেছি। এডিট করা পিকচার দিলে কিন্তু হবে না! এতে অরিজিনাল স্কিন কালার বোঝা যায় না। এমন ছবি দিতে হবে, যাতে স্কিনটোন বোঝা যায়। ইনবক্সে ছবি দিলে, সেখানে বিউটি কনসাল্টেন্ট আছেন যারা আপনাকে হেল্প করবে সঠিক শেইডটি খুঁজে পেতে।
আপনার NC জানা থাকলে সেটা দিয়েও অন্য ব্র্যান্ডের ফাউন্ডেশনের কোন শেইড আপনাকে মানাবে, সেটাও বের করা যায়। এখন অনলাইনে সার্চ দিলে ফাউন্ডেশন ম্যাচ করার বা রাইট শেইড বের করার বিভিন্ন টুলস আছে। ফাউন্ডেশন শেইড ফাইন্ডার বেশ হেল্পফুল, বিশেষ করে যারা অনলাইনে কেনাকাটা করেন তাদের জন্য! লাইট বা ডার্ক শেইডের প্রোডাক্ট নিলে আপনার লুকটা বেমানান লাগবে। তাই গায়ের রঙের সাথে শেইড মিলিয়ে ফাউন্ডেশন কিনুন।
তো এই ছিল ফাউন্ডেশনের রাইট শেইড নির্বাচন নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা। আশা করছি অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। অনলাইনে অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে পারেন anayase.com থেকে।